Amar Bhanga Pother Ranga Dhulay Lyrics (আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায়)
✨ রবীন্দ্রসংগীতের তথ্য ✨
🎵 রাগ:
বেহাগ
🥁 তাল:
দাদরা
📅 রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ):
২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৪
🗓️ রচনাকাল (বঙ্গাব্দ):
১৫ ফাল্গুন, ১৩২০
📍 রচনাস্থান:
কুষ্টিয়া যাবার পথে পাল্কিতে
✍️ স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
Amar Bhanga Pother Ranga Dhulay Lyrics
আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায়।পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন।
তারি গলার মালা হতে
পাপড়ি হােথা লুটায় ছিন্ন।
এল যখন সাড়াটি নাই,
গেল চ’লে জানালো তাই,
এমন করে আমারে হায়
কে বা কাঁদায় সে জন ভিন্ন॥
তখন তরুণ ছিল অরুণ-আলো,
পথটি ছিল কুসুমকীর্ণ।
বসন্ত যে রঙিন বেশে
ধরায় সেদিন অবতীর্ণ।
সেদিন খবর মিলল না যে,
রইনু বসে ঘরের মাঝে,
আজকে পথে বাহির হব
বহি আমার জীবন জীর্ণ।
তারি গলার মালা হতে
পাপড়ি হােথা লুটায় ছিন্ন।
এল যখন সাড়াটি নাই,
গেল চ’লে জানালো তাই,
এমন করে আমারে হায়
কে বা কাঁদায় সে জন ভিন্ন॥
তখন তরুণ ছিল অরুণ-আলো,
পথটি ছিল কুসুমকীর্ণ।
বসন্ত যে রঙিন বেশে
ধরায় সেদিন অবতীর্ণ।
সেদিন খবর মিলল না যে,
রইনু বসে ঘরের মাঝে,
আজকে পথে বাহির হব
বহি আমার জীবন জীর্ণ।
আরও পড়ুনঃ তোমার খোলা হাওয়া
আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় গান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
📜 রচনাকাল ও পটভূমি
এই গানটি রবীন্দ্রনাথের ১৩০০-এর দশকের প্রথম দিকের সৃষ্টিগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে তার কবিতায় বিচ্ছেদ, স্মৃতি এবং জীবনের ক্ষয়িষ্ণু পথের অভিজ্ঞতা গভীরভাবে ফুটে ওঠে।
এটি “গীতবিতান”-এর প্রেম বা স্বদেশ–প্রকৃতি সংশ্লিষ্ট পর্বে সন্নিবেশিত।
গানটি রবীন্দ্রনাথের মনোজগতের সেই সময়ের দার্শনিক ভাবনাগুলোর প্রতিফলন—সময়, স্মৃতি ও অনুপস্থিতির বেদনা।
🎼 গানের মূল ভাব
এই গানে বক্তা জীবনের ভগ্নপথে হঠাৎ আগত কারো চিহ্ন দেখে অতীতের স্মৃতিতে ডুবে যান।
একসময় জীবন ছিল—
- তরুণ প্রভাতের আলোয় ভরা,
- ফুলে মোড়া পথ,
- বসন্তের রঙে সাজানো পৃথিবী।
কিন্তু তখন তিনি কোনো বার্তা পাননি।
আজ যখন জীবন জীর্ণ ও ক্লান্ত, তখনই পুরনো স্মৃতি ফিরে এসে তাকে নতুন বেদনায় ভরিয়ে দেয়।
গানে অপ্রাপ্ত প্রেম, বেদনা এবং সময়ের নির্মমতার এক সূক্ষ্ম মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে।
🎤 সুর ও পরিবেশনা
গানটি অনেক বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পরিবেশন করেছেন—যেমন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, প্রণব রায়, চিতপ্রভা দেবী, মঞ্জরী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
গানটির সুরের চরিত্র শান্ত, গভীর ও বিষণ্ণ, যা গানের আবেগকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
📖 গানের গুরুত্ব
এটি রবীন্দ্রনাথের এমন এক সৃষ্টি যেখানে প্রেম ও বিচ্ছেদের সৌন্দর্য পাশাপাশি ফুটে উঠেছে।
ভাষার সরলতা ও আবেগের গভীরতা গানের লাইনগুলোকে অনন্য করে তোলে।
এই গানটি বাংলা সঙ্গীত-সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে, বিশেষ করে তারা যারা রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্মৃতিমূলক অনুভূতির পাঠ খোঁজেন।